লাকসাম-মনোহরগঞ্জে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে মোটরসাইকেল র‌্যালি

প্রতিটি বাজারেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় জনসাধারণ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে র‌্যালিকে স্বাগত জানান।

মো: মিজানুর রশিদ, লাকসাম (কুমিল্লা)

Location :

Laksam
লাকসাম-মনোরহরগঞ্জে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল র‌্যালি
লাকসাম-মনোরহরগঞ্জে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল র‌্যালি |নয়া দিগন্ত

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম–মনোহরগঞ্জ) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে বর্ণ্যাঢ্য মোটরসাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় লাকসাম স্টেডিয়ামে প্রায় দুই হাজারের অধিক মোটরসাইকেল চালক জমায়েত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালি শুরু হয়।

সকাল ৯টা থেকে লাকসাম বাজার অতিক্রম করে র‌্যালিটি নগরপাটি, ফুলগাছ, শোকতলা, খিলা, নাছেরপেটুয়া, বিষ্ণুপল্লী, লক্ষ্মীপুর, বাঁশখিলা, হাসানাবাদ, মন্দিরগাঁও, মনোহরগঞ্জ, পোয়ামশক, শান্তির বাজার, খিলা, মাগুরাপাড়া, মুদাফরফরন্দ, বিজরা, অবশরদিয়া, নোয়াপাড়া ঘুরে জংশন বাজারে পৌঁছে। বিকেল ৩টা নাগাদ জংশন বাজার থেকে ফিরে র‌্যালি পুনরায় লাকসাম স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়।

প্রতিটি বাজারেই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় জনসাধারণ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে র‌্যালিকে স্বাগত জানান।

মনোহরগঞ্জে যাত্রাবিরতি চলাকালে জামায়াতে ইসলামী লাকসাম–মনোহরগঞ্জ আসনের মনোনীত প্রার্থী ড. ছৈয়দ এ কে এম সারওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচিত হলে সুদমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে আইন প্রণয়ন হবে। একজন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হওয়ার পরও মনোহরগঞ্জ এখনো উন্নয়ন বঞ্চিত। আমি ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ে বাঁধ নির্মাণ, ফয়েজুন্নেছা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ এবং রাস্তা-ঘাটসহ সর্বমুখী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করব।’

র‌্যালিতে অংশ নেয়া মোটরসাইকেল চালকরা জানান, দীর্ঘদিন পর এলাকায় এমন সুশৃঙ্খল ও ব্যাপক রাজনৈতিক প্রদর্শন দেখা গেল, যা তরুণদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই শক্তিশালী শোডাউন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠে দৃশ্যমান সুবিধা দিয়েছে এবং জনসমর্থনের নতুন সূচক তৈরি করেছে।