ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা ও দেশকে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত করতে দেশের শ্রমিক সমাজকে ময়দানে আপোসহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে শিল্পাঞ্চল থানা জামায়াত আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির কলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি সভাপতি তোফাজ্জল হক, থানা সেক্রেটারি নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহিদ, শ্রমিক নেতা ডাক্তার সুলতান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান মুন্না ও আব্দুল মালেক প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছিলো। বিপ্লবোত্তর প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই গণহত্যাকারী বিচারের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও মহল বিশেষের হঠকারিতার কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছে না। কিন্তু সচেতন ছাত্র-জনতা এসব ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
তিনি প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে নির্বাচনের আগেই গণভোট, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর পিআর পদ্ধতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘এদেশের মানুষ আর অপশাসন-দুঃশাসন ও স্বৈরাচারি-ফ্যাসিবাদী শাসনে ফিরে যেতে চায় না। কারণ, তারা স্বাধীনতার পর সুশাসন ও জনগণের ভাগের পরিবর্তের নামে লুটেরাদের লুটপাট ও লাগামহীন জুলুমবাজী দেখছে। তাই তারা এখন পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ এখন আর পুরাতন প্রতীকে ভোট দিয়ে নতুন করে প্রতারিত হতে চান না। কারণ, তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, অতীতের শাসকরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছে। তাই তারা এখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে শরীক হতে চায়।’
তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্নীতি ও ঘুষ করে করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহ্বান জানান।



