বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে জামায়াত বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত পার্লামেন্ট গঠন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর দেশে এক দলীয় স্বৈরাচারী পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠিত ছিল। যাতে সকল দলের উপস্থিতি ছিল না। তাই পার্লামেন্টে সকল দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতি জরুরি।’
শনিবার (৯ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার অগ্রসর কর্মীদের দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদপুর শহরের স্থানীয় অডিটোরিয়ামে শিক্ষাশিবির উদ্ধোধন করেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী। জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো: শাহজাহান মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখার আমির অধ্যাপক মো: আবদুল মতিন, জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মো: মাসুদুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ডা: আব্দুল মবিন।
শিক্ষা শিবিরে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, মো: জাহাঙ্গীর আলম, মো: হারুন আর রশিদ ওসমানীসহ উপজেলা ও পৌর শাখার আমিররা।
এ টি এম মাছুম বলেন, ‘সকল দলের যোগ্য ও শিক্ষিত লোকদের সমন্বয়ে গঠিত এ সংসদ গোটা দুনিয়ার উন্নত পার্লামেন্টের কাতারে চলে যাবে। আর সে জন্য বাংলাদেশে মেধাবীদের পার্লামেন্ট গঠন করতে হলে এ পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি আমাদের দাবি, এই দাবিতে প্রয়োজনে আমরা রাজপথে কর্মসূচি দেবো। তারপরও এই ঘোষণাপত্রকে সংশোধন করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব। আমরা যেখানেই যাব মানুষকে এটা বোঝাব, মানুষকে এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করব। আমরা চাই, নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব, তবে নির্বাচনের আগে একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে-এটা আমাদের দাবি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা, যদি এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত না করা হয় তাহলে এটার দু’ পয়সার দাম থাকবে না। সেজন্য এটাকে ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ এই সরকারকেই নিতে হবে। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই কিন্তু ২০২৪-এর মতো কোনো পাতানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, যদি এটা হয় তাহলে আবারো জনগণ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের মতো রাজপথে নামবে। জনগণ পাতানো নির্বাচন এদেশে আর হতে দেবে না। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনেও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে এবারের নির্বাচন হবে অবাধ অংশগ্রহণমূলক।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে, ভোটার বানানো এবং তারা যাতে সহজেই ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। আমরা আমাদের সমাবেশে যে সাত দফা দাবি করেছিলাম সেগুলো আমরা এখনো করে যাব। এবারের নির্বাচন অত সহজ হবে না। নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’
‘আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমাজকে যেকোনো ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করার জন্য, মুসলিম উম্মাহর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার জন্য এই নির্বাচনটাকে আমরা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আল্লাহ আমাদের জন্য বিজয়ের ফয়সালা করবেন।’
সমাপনী বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী।