চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দ্বীপ চরতীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ মো: সালেহ (৩৩) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সালেহ চন্দনাইশ হাশিমপুর সৈয়দাবাদের পদ্দাডেবা এলাকার মরহুম আবদুল জলিলের ছেলে।
এর আগে একইদিন ভোর ৪টায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুদামের মালিক মাহবুব আলম (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। এর ফলে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চারজনে।
এদিকে, গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় মো: ইদ্রিস (২৬) এবং শনিবার রাত পৌনে ১০টায় মো: ইউসুফ (৩০) মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গির আলম।
মাহবুব আলম চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ভূঁইয়া বাড়ির মরহুম কবর আহমদের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ইদ্রিস একই উপজেলার হাশিমপুর সৈয়দাবাদ গ্রামের মো. নাসিরের ছেলে। ইউসুফ কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা হলেও তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলির মাহবুব আলমের মালিকানাধীন গ্যাস সিলিন্ডার গুদামে এক সিলিন্ডার থেকে অন্য সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রসফিলিং করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ১০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। প্রথমে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় সবাইকে ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
বর্তমানে আরো ছয়জন ওই ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- মো: সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো: হারুন (২৯) এবং মোহাম্মদ লিটন (২৮)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শরীরের গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।