নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নে কৃষকদলের নেতার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা এবং ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে একই গ্রামের ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়ন কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য জাকের হোসেন মিয়াজীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা এবং তার ছেলে ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মিয়াজীকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের হুমকির অভিযোগ ওঠেছে একই গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে ফয়সাল আহমেদ, কাউছার, ফাহাদ, রায়হান ও তাদের মা আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ও তার অপর ভাইয়েরা ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকার সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের কর্মী বলে দাবি করেন কৃষকদল নেতা ও সাবেক মেম্বার জাকের হোসেন মিয়াজী।
এসময় হামলাকারীরা কৃষকদল নেতা জাকের হোসেন মেম্বারের অপর ছেলে আলী হোসেন মিয়াজী ও মাঈন উদ্দিন সৈকতকে মারপিট করে বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িতে বসবাসরত সব পরিবারের জন্য নির্ধারিত চলাচলের রাস্তা থাকার পরও অভিযুক্তরা জোরপূর্বক কৃষকদল নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বার জাকের হোসেন মিয়াজীর বাড়ির টিনের বাউন্ডারি বেড়া ভেঙে নিজেদের চলাচলের রাস্তা করতে এ হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী আলী হোসেন মিয়াজী বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সব পরিবারের চলাচলের জন্য একটি নির্ধারিত রাস্তা রয়েছে। কিন্তু মাঙ্গলবার দুপুরে ফয়সালের নেতৃত্বে তার অপর ৩ ভাই ও মা মিলে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। তারা আমাদের বাড়ির বেড়া কুপিয়ে তছনছ করে ফেলে। এসময় আমরা বাঁধা দিলে আমাকে মারপিট ও আমার ভাই জসিম উদ্দিন মিয়াজীকে অস্ত্র গলায় বসিয়ে দিয়ে চুপ থাকতে বলে, না হয় জবাই করে হত্যা করার হুমকি দেয় এবং এ ব্যাপারে আইনগত প্রদক্ষেপ নিলে জসিমের কর্মস্থল ঢাকা থেকে তাকে অপহরণ করবে বলেও হুমকি দেয়।’
ভূক্তভোগী কৃষকদল নেতা জাকের হোসেন মেম্বার এ ব্যাপারে বলেন, ‘ফয়সাল ও তার ভাইয়েরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। তারা ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাজী সেলিমের লোক। তারা আমার বাড়িঘর কুপিয়ে তছনছ করে ও আমার ছেলেদেরকে মারপিট ও হত্যা এবং অপহরণের হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে এ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আলী হোসেন ও জসিম আগে আমাদের ওপর হামলা করায় তাদের বাড়ির বেড়া ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও হাজী সেলিমের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।’
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’