শিক্ষার আলো নিজ জন্মভূমিতে ছড়িয়ে দিতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ। পার্বত্য রাঙামাটির লংগদুতে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গাথাছড়া বায়তুশ শরফ মাদরাসা মিলনায়তনে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও প্রাক্তন ছাত্র সংসদের আয়োজনে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এ সময় বায়তুশ শরফ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশিদকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মাইনীমূখ লঞ্চঘাটে এস এম ফরহাদকে ফুল দিয়ে বরণ করেন উপজেলা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তাকে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ মাদরাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা ফোরকান আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লংগদু সরকারি কলেজের প্রভাষক হারুনুর রশীদ ও লংগদু প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মো: এখলাছ মিঞা খান প্রমুখ।
জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশিদ বলেন, ‘দেশের নেতৃত্বে এখন যোগ্য, দেশপ্রেমিক তরুণদের দরকার। ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নেতৃত্ব দেখাচ্ছেন, তা পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।’
সংবর্ধিত অতিথি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আমার এতদূর আসার পথটা সহজ ছিল না। লংগদুর মতো প্রত্যন্ত এলাকায় পড়াশোনা করেছি, যেখানে শিক্ষক সংকট, সুযোগ-সুবিধার অভাব আর সীমাহীন চ্যালেঞ্জ ছিল। তবুও এই পাহাড়ি জনপদ থেকেই আজ আমি ডাকসুর জিএস হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এলাকার অনেক শিক্ষার্থী প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সামান্য সহযোগিতা পেলে পার্বত্য অঞ্চল থেকেই অনেক দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ বড় জয় পায়। এই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাদচিত হন ফরহাদ। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং গাথাছড়া বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের প্রাক্তন ছাত্র।