অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আখন্দ

ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থাই ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য

‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান একটি পূর্ব পরিকল্পিত জনআন্দোলনের ধারাবাহিকতা। জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

মো: আজিজুল হক, গাজীপুর মহানগর
অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আখন্দ
অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আখন্দ |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মতিউর রহমান আখন্দ বলেন, ‘২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। জনগণ বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।’

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে মহানগরীর টঙ্গীস্থ তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার শহীদ আবদুল মালেক অডিটোরিয়ামে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর।

অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মতিউর রহমান আখন্দ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মো: জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান একটি পূর্ব পরিকল্পিত জনআন্দোলনের ধারাবাহিকতা। জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

মো: জামাল উদ্দিন আরো বলেন, ‘সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারের পর দ্রুততার সাথে তার বিচারের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, গাজীপুর-২ আসনের প্রার্থী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ হোসেন আলী, গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন আইয়ুবী, মহানগর জামায়াত নেতা আবু সিনা নুরুল ইসলাম মামুন, মো: নেয়ামত উল্লাহ শাকের, মো: নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসাইন ভূঁইয়া প্রমুখ।

সভায় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ শাকিল পারভেজের বাবা মো: বেলায়েত হোসেন, শহীদ সাখাওয়াত হোসেনের সন্তান মো: আমীর হামজা, শহীদ সামিউ আমান নুরের বাবা মো: আমান উল্লাহ।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়। একটি ইনসাফভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর মহানগর শিবিরের সভাপতি মো: রেজাউল ইসলাম, তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (টাকসুর) ভিপি মুহাম্মদ ইকবাল কবির, বিভিন্ন থানার আমির, বিভাগীয় নেতারা, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।