কেশবপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবদলের কর্মী মনিরুল ইসলামকে (৩৫) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিনজনকে আটক করেছে।
বুধবার (১৮ জুন) তিনি মারা যান।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্র জানায়, ১৭ জুন বিকেলে কেশবপুর উপজেলার বরনডালী গ্রামের আলী বক্সের ছেলে যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম (৩৫) ওই দিন সরসকাটী বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এসময় সেখানে বরনডালী গ্রামের রেজা হাসানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত লাঠি ও রড দিয়ে মনিরুলকে নির্মমভাবে মারপিট করে। এসময় প্রতিবাদ করায় একই গ্রামের আবুল কাসেম গাজী, মমিয়ার রহমান ও মিজানুর রহমানকেও হামলাকারীরা মেরে আহত করে। আহতদের কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে এলাকাবাসী। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর আহত মনিরুল ইসলামকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১৮ জুন মারা যান মনিরুল ইসলাম।
ঘটনার সময় এলাকাবাসী স্থানীয় সবুজ, লিটন ও সালাহ উদ্দীন নামে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্ত করা হয় বলে সূত্র জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই শামীম হোসেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নিহত মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা এলাকার জাকির হোসেনের নিকট ১০ হাজার টাকা পেত। ওই টাকা চাওয়ার অপরাধে জাকির হোসেন তার দলবল এনে মেরে হত্যা করেছে বলে নিহতের নিকট স্বজনরা জানায়।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ হেফাজতে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে এনে সন্ধার পর তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।’