পদ্মা সেতুতে ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘আত্মত্যাগ’ গ্রাফিতি উদ্বোধন

পদ্মা সেতু সংলগ্ন ম্যুরালে অঙ্কিত গ্রাফিতি শুধু সৌন্দর্যের সংযোজন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির সংগ্রামী অতীতকে জীবন্তভাবে তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস।

গোলাম মঞ্জুরে মাওলা অপু, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)

Location :

Munshiganj
পদ্মা সেতুতে ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘আত্মত্যাগ’ গ্রাফিতি উদ্বোধন
পদ্মা সেতুতে ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘আত্মত্যাগ’ গ্রাফিতি উদ্বোধন |নয়া দিগন্ত

২০২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ম্যুরালে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ আজ শনিবার উদ্বোধন হচ্ছে।

আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় এ উপলক্ষে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: মাসুদ রানা শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুলাই শহীদ ও গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মহিমান্বিত স্মৃতি অম্লান রাখতে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বিশেষ গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্তবর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।

এর আগে গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থান একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই স্মৃতি অম্লান রাখতে শিল্পকর্মের মাধ্যমে তা স্থাপত্যশৈলীর সাথে মিশিয়ে ইতিহাসবাহী শিল্পরূপে রূপায়িত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পদ্মা সেতু সংলগ্ন ম্যুরালে অঙ্কিত গ্রাফিতি শুধু সৌন্দর্যের সংযোজন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির সংগ্রামী অতীতকে জীবন্তভাবে তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস।

গত ৭ আগস্ট সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ নিজে উপস্থিত থেকে গ্রাফিতি অঙ্কনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও শহীদদের আত্মত্যাগ জাতির চিরন্তন সম্পদ। এই গ্রাফিতি সেই গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে শিল্পের মাধ্যমে ধারণ করেছে, যা ইতিহাস ও নান্দনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।’

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগ শুধু শিল্পপ্রেমীদের নয়, বরং সমগ্র জাতির হৃদয়ে নতুন প্রেরণা জাগাবে এবং দেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসকে আরো দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে।

উল্লেখ্য, গ্রাফিতিতে শহীদ আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত ছবি রয়েছে। রয়েছে ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে ‘স্যালুট সুজন’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজনের মুখচ্ছবি। এছাড়াও শহীদ মুগ্ধসহ অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারী ও শিশুদের মুখচ্ছবিও রয়েছে সেতুর উভয় প্রান্তের গ্রাফিতিতে।