খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় বিষাক্ত মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২০ জুলাই) সকালে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতরা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলার থুকরা গ্রামের জামিরুল ইসলাম সরদারের ছেলে রাসেল (২৮) এবং রেজওয়ান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২)। তারা দুজনই গরু ব্যবসার সাথে জড়িত।
এদিকে গুরুতর অসুস্থরা হলেন- থুকড়া গ্রামের বারিক বিশ্বাসের ছেলে এনামুল হক (২৮), মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মুকুল বিশ্বাস (২৭) এবং জাহাতাপ বিশ্বাসের ছেলে বুলবুল (৫০)। অসুস্থ ব্যক্তিরা গোপনে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সবাই মাদক কারবারি আ: হালিম সরদারের কাছ থেকে মদ কিনে পান করেন বলে জানান।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে রাসেল সরদার অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। রোববার সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে থুকড়া গ্রামের রেজওয়ান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২) অসুস্থ হলে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হন। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল মারা যায়।
নিহত রবিউল ইসলামের ভাই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী পান্না বেগম হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে বলে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়া সকালে দাফন করা হয়।
অসুস্থ এনামুল হক বিশ্বাস জানান, থুকড়া গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে মাদক কারবারি আ: হালিম সরদারের কাছ থেকে শুক্রবার রাতে দুই শ’ টাকার বিনিময়ে এক বোতল মদ কিনে তার বন্ধু সবুজ গাজী(২৬) সহ তিনজনে রাত ১০টার দিকে বাজারের পাশে পান করেন। পরদিন সকাল ১০টার দিকে এনামুল হক বমি শুরু করে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে থাকেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়িতে রয়েছেন।
রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ইব্রাহিম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। নিহতদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।’