কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীবাসীর আয়োজনে পটুয়াখালী পৌরশহরের শহীদ আলাউদ্দীন শিশুপার্কে খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে ভুয়া মামলায় অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। উনি নাকি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। এতিমের ফান্ডে দুই কোটি টাকা ছিল। সেই টাকা বেড়ে বেড়ে আজ আট কোটি টাকা হয়েছে। তাহলে টাকাটা কিভাবে মারলো? এভাবে ম্যাডামকে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) ভুয়া মামলায় বিনা দোষে অ্যারেস্ট করে জেলে নিয়ে গেছে। যখন জেলে নিয়ে গেছে তখন আমাদের কাছে ম্যাডামের যে মেডিক্যাল রেকর্ড আছে- যেমন মানুষের ব্রেন, হার্ট, লাঞ্চ, কিডনি ও লিভার- এই পাঁচটি অর্গান বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু ওনি যখন জেল থেকে বেরিয়ে এলেন প্রত্যেকটা অর্গান সাংঘাতিকভাবে অসুস্থ ছিল। যার কারণে ডাক্তার সাহেবরাই সন্দেহ করেন যে ম্যাডামকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে, ম্যাডামের ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ম্যাডামকে না, তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে অনেক অত্যাচার করেছে। প্রায় বিকলাঙ্গ করে দিয়েছিল। ওনার ছোট ছেলে কোকো বিনা চিকিৎসায় বিদেশে ইন্তেকাল করেছেন। এই কাহিনীগুলো শুনে বিদেশের লোকেরাও চোখের পানি ফেলে। এই জন্যই ওনার (খালেদা জিয়ার) নাম দিয়েছে মাদার অফ ডেমোক্রেসি। গণতন্ত্রের মা। যে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই করেছেন, এই লড়াইয়ের জন্য কারো কাছে মাথানত না করার কারণে ওনার নাম হয়েছে আপসহীন নেত্রী।’
আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। এমনকি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা আব্বাসকে ইমপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এসব ষড়যন্ত্রে বিএনপি ছাড় দেবে না।’
জেলা বিএনপি নেতা মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না মিয়ার সভাপতিত্বে এবং জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক আলী খান কবিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ্ মো: নেছারুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ডা: রঞ্জু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম মোজাম্মেল হোসেন তপন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: মহসীন উদ্দিন, জেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন দুলাল মাদবর, জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জু মৃধা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ মো: সালাউদ্দিন, সাবেক যুবদল নেতা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান রুমী, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লতিফ সিদ্দিকী, খন্দকার আব্দুর রহমান, লতিফ তালুকদার, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা লায়লা ইয়াসমিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা জেসমিন জাফরসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।



