পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির হোন্দল এলাকায় হরিণ শিকারের প্রস্তুতিকালে সাত শিকারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বনবিভাগের পতাকাসহ দুটি ট্রলার, ১০০টি হরিণ শিকারের হাটা ফাঁদ, একটি মই জাল, একটি করাত, ২০টি কন্টেইনার, দুটি ড্রাম, একটি নোঙর, কিনটি ত্রিপল, দুটি পাতিল ও দুটি ককসিট জব্দ করা হয়।
রোববার (২নভেম্বর) দুপুরে তাদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শরণখোলা স্মার্ট টিম-১-এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটক শিকারীরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সগুনা গ্রামের মরহুম তারাপদ পালের ছেলে মনোজ পাল (৪২), বাইনতলা গ্রামের মরহুম আ: হামিদের ছেলে মুজিবুর রহমান (৫৬), চাঁনপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মুনাফ আলী মোল্লা (২২), একই গ্রামের মরহুম খাদেম শেখের ছেলে মোজাম্মেল শেখ (৫২), বারইপাড়া গ্রামের কান বাবুর ছেলে খান তামিম (২০), সত্তার মল্লিকের ছেলে ওহিদ মল্লিক (৩৬) ও মোংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের মরহুম সুন্দর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৫)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, দুবলার চরের আলোরকোলে সানতন ধর্মের রাস পূজা উপলক্ষ্যে পূণ্যার্থীর ছদ্মবেশে শিকারী চক্রটি বনে প্রবেশ করে। তারা গভীর রাতে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির হোন্দলের বনাঞ্চলে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় গোপন সংবাদ পেয়ে স্মার্ট টিমের টিম লিডার দিলীপ মজুমদারের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে সাত শিকারীকে আটক করতে সক্ষম হন। আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করে রোববার বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।