কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি জেলার মাইনী ও চেঙ্গি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে শত শত পরিবার।
বুধবার (৯ জুলাই) খাগড়াছড়ি শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জ পাড়া, কালাডেবাসহ বেশ কয়েকটি একটি এলাকা পানিতে ডুবে যায়। তবে, এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের পাহাড় ধ্বসের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, ‘শালবাগান, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় তিন-চার শতাধিক পরিবার পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টির কারণে যেকোনো সময় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তাদের শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু প্রাইমারি স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া যায়।
এদিকে, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মেরুং ইউনিয়নের স্টিল সেতু এলাকার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করে। ডুবে যাওয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ মেরুং বাজার-সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার দেয়া হচ্ছে।’