টাঙ্গাইলে অবৈধ সিসা কারখানায় বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ

‘এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ে অবৈধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ করতে দেয়া হবে না।’

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

Location :

Tangail
পাহাড়ি বনে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সিসা কারখানা
পাহাড়ি বনে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সিসা কারখানা |নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালিরচালা এলাকায় বনের ভেতর গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে অবৈধ সিসা তৈরির কারখানা। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বন, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে পরিবেশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিন থেকে চার মাস আগে কারখানাটি উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের কিছুদিন পরেই আবারো স্থাপন করা হয় অবৈধ এই কারখানাটি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কারখানাটি স্থাপন করা হয়। গাইবান্ধা থেকে আগত হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কারখানাটি পরিচালনা করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটাইল-সাগরদিঘী পাকা সড়ক থেকে মাত্র ২০০ গজ উত্তরে বনের ভেতর টিন ও মোটা পলিথিনের বেষ্টনী দিয়ে কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে। বেষ্টনীর ভেতর গর্ত করে মাটির চুলার মতো চুল্লি বানানো হয়েছে।

কারখানাটিতে পুরোনো ব্যাটারি গলিয়ে অবৈধভাবে সিসা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির একজন নেতা জানান, শ্রমিকরা সারাদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরোনো ব্যাটারি সংগ্রহ করে কারখানায় নিয়ে আসে। রাতের বেলায় সংগৃহীত ব্যাটারি মাটির তৈরি চুল্লিতে দিয়ে গলিয়ে সিসা বের করে তা বিক্রির জন্য প্রস্তত করা হয়। পরে ভোর হওয়ার আগেই বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত সিসা নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেন কারখানার মালিকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবু নাঈম মো: সোহেল বলেন, ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির সময় নির্গত রাসায়নিক দ্রব্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, ক্যান্সার, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবু সাইদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। দ্রুততম সময়ে অবৈধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ করতে দেয়া হবে না।’