চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর (৪৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রোববার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
হাসপাতালে আসা স্বজনদের দাবি, কারাগারে বন্দী ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা তাকে গুলি করে। এতে তার শরীরে ছয়টি গুলি লাগে।
নিহত আকবর চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলা রয়েছে। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত আকবর।
কারাগারে আটক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারী ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে নিয়ে কটূক্তি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রায়ই ভিডিও দিতেন আকবর। পাশাপাশি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাও আকবরকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে নানা ভিডিও দিতেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় রাত ৮টার দিকে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন আকবর। ওই সময় হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে আকবরকে লক্ষ্য করে। গুলিতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা চলে যায়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ আকবরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, এক নারী কান্নাকাটি করছে আর বলছেন, ‘আঁর পুয়ারে মারি ফেলাইয়ি’। তার ঠিক পাশেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গড়াগড়ি করছে ঢাকাইয়া আকবর।
গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে গ্রেফতার হন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। এরপর ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এতে দু’জন নিহত হন। তবে বেঁচে যান প্রাইভেটকারে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন।
এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার এক আসামি আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, এলাকায় ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেয়াসহ পাঁচ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সরোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাজ্জাদ কারাগারে আটক থাকলেও তার অনুসারী বেশিভাগ ‘সন্ত্রাসী’ এখনো ধরা পড়েনি।