চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলা, ফেসবুক লাইভের পর উদ্ধার করলো পুলিশ

ফেসবুক লাইভের ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসকে বেশ ভীতসন্ত্রস্ত ও কান্নারত দেখা যায়। তখন তার চোখের পাশ দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

আরফাত বিপ্লব, চট্টগ্রাম ব‍্যুরো

Location :

Chattogram
চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলা, ফেসবুক লাইভের পর উদ্ধার করলো পুলিশ
চট্টগ্রামে চিকিৎসকের ওপর হামলা, ফেসবুক লাইভের পর উদ্ধার করলো পুলিশ |ছবি : নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামে এক চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রেখে তার ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে সহায়তা চাইলে কয়েক ঘণ্টা পর পুলশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকার কেবি আমান আলী রোডের পুরান চারতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রক্তাক্ত চিকিৎসক লাইভে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি ডা: ইকবাল বাকলিয়া পুরাতন চারতলা এলাকায় আছি। বিএনপির হারুন ও তার সন্ত্রাসীদেরকে টাকা দেইনি বলে আমাকে মেরেছে। আমি এখন পাশের একটি ঘরের মধ্যে লুকিয়ে আছি। আমাকে আরো মারার জন্য খুঁজতেছে। আমি ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি, ২০/৩০ মিনিট হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো কেউ আসতেছে না। প্লিজ আমাকে বাঁচান। কাইন্ডলি আমাকে একটু বাঁচান। আমার চোখ দিয়ে রক্ত আসছে, আমার চশমা ভেঙে গেছে।’

ফেসবুক লাইভের ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ সময় চিকিৎসকে বেশ ভীতসন্ত্রস্ত ও কান্নারত দেখা যায়। তখন তার চোখের পাশ দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

জানা গেছে, ডা: ইকবালের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তিনি নগরীর বাকলিয়ার পুরাতন চারতলা এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেবে এবং মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়ে আসছিল তারা।’

মঙ্গলবার রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখার সময় ডা: ইকবাল চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘ওখানে ডা: সাহেবের একটি ভবনের নিমার্ণ কাজ চলছিল। এটা নিয়ে স্থানীয়দের বিরোধ চলে আসছিল। আজ সিডিএ টিম পরিদর্শনের সময় স্থানীয়দের সাথে ডা: ইকবালের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি আহত হন। ৯৯৯-এ কল পাবার পর আমরা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি।’