বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর মামলায় ১২ আইনজীবী কারাগারে

কারাগারে পাঠানো ১২ জন আইনজীবী সকলেই বরগুনা জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা

Location :

Barguna
বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর মামলায় ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
বরগুনায় বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর মামলায় ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে |ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো: সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।

এর আগে তারা উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। আজ তারা বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো ১২ জন আইনজীবী সকলেই বরগুনা জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

এসব আইনজীবীরা হলেন, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল বারী আসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এম মজিবুল হক কিসলু, সাবেক জিপি মজিবুর রহমান, জুনায়েদ জুয়েল, হুমায়ুন কবির পল্টু, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, চরদুয়ানীর আবদুর রহমান জুয়েল, আবদুল্লা আল মামুন, অ্যাডভোকেট সাইমুন ইসলাম রাব্বী, ইমরান, আমতলী গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ও মিলন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বরগুনা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির অফিস কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালান। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম গত ৩০ এপ্রিল ১৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে ১২ জন আইনজীবী উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। পরে ওই জামিন শেষে অভিযুক্তরা বরগুনা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, শুনানি শেষে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো: নূরুল আমিন বলেন, আদালতে হাজির হওয়া ১২ আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের মামলায় এজহারভুক্ত আসামি। তারা উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিন শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।