সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে হবে

দেবিদ্বারে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে হাসনাত আবদুল্লাহ

বিশ্বাসগত জায়গায় আমাদের পার্থক্য থাকলেও এখানে হিন্দু-মুসলমান ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই মিলেমিশে বসবাস করছে। দেবিদ্বারের বেশিভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু ধর্মাবলম্বী, কিন্তু কখনো কোনো ঝামেলার কথা শোনা যায়নি।

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

Location :

Debidwar
দেবিদ্বারে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে হাসনাত আবদুল্লাহ
দেবিদ্বারে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে হাসনাত আবদুল্লাহ |নয়া দিগন্ত

‘আমাদের হিন্দু-মুসলিমের এই সম্প্রীতিটা ধরে রাখতে হবে’- হবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়নের সংচাইল গ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো, বলা হতো কাউকে পূজা করতে দেয়া হবে না, জোর করা হবে। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো বিপত্তি ঘটেনি। এতদিন আপনাদেরকে একটি মিথ্যা ভয় দেখানো হতো। আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’

পূজায় আগত নারীদের শাড়ি উপহার ও মণ্ডপে নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসগত জায়গায় আমাদের পার্থক্য থাকলেও এখানে হিন্দু-মুসলমান ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই মিলেমিশে বসবাস করছে। দেবিদ্বারের বেশিভাগ ব্যবসায়ী হিন্দু ধর্মাবলম্বী, কিন্তু কখনো কোনো ঝামেলার কথা শোনা যায়নি। এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’

দেবিদ্বারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। দেবিদ্বারের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ভাঙাচোরা রাস্তা নেই। এসব রাস্তাঘাট সংস্কার করা হবে।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ঘরের গৃহিণী, সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া করান- এটাই আমার অনুরোধ। আমরা সবাই মিলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

অনুষ্ঠানে এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন, ফেনী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, সোনাগাজী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা এবং নবাবপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জিয়াউর রহমান।