আমতলীতে গরুকে ঘাস খাওয়ানোকে ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

গরুর ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Amtali
আমতলী থানা, বরগুনা
আমতলী থানা, বরগুনা |নয়া দিগন্ত

গরুর ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে মোশাররফ হাওলাদার ও জসিম গাজীর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। আহত ১০ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে।

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোশাররফ হাওলাদার ও জসিম গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

বুধবার সকালে ওই জমির ঘাস খাওয়াতে জসিম গাজীর লোকজন গরু বাঁধে। এতে মোশাররফ হাওলাদারের লোকজন বাধা দেয় এমন অভিযোগ জসিম গাজীর।

এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১২ জন আহত হয়। আহত মোশাররফ হাওলাদার (৫৮), মেহেদী হাসান (২৮), রাহাত (২৭), জসিম গাজী (৩৯), মজনু গাজী (৩৬), মনির গাজী (৪৫), জহির গাজী (৪০), মন্নান গাজী (৬৫), স্বাধীন গাজী (২৫) ও আবু সাইদকে (১২) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর মধ্যে গুরুতর আহত জসিম গাজী ও মজনু গাজীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহত জসিম গাজী বলেন, ‘আমার জমির ঘাসে গরু বেঁধে দেই। মোশাররফ হাওলাদার ও তার লোকজন এতে বাধা দেয়। এক পর্যায় তারা আমার লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। এতে আমার সাতজন আহত হয়েছে।’

আহত মোশাররফ হাওলাদার বলেন, ‘ঘাস খাওয়াতে গরু নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় জসিম গাজীর লোকজন আমার লোকজনকে পিটিয়ে আহত হয়েছে। এতে আমার পাঁচজন আহত হয়েছে।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুইজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’