রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার পূর্ব বিল মামুদপুর গ্রামের শেখ ফারুকের ছেলে ফয়সাল (২২), রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙ্গী গ্রামের চাঁন মিয়া মোল্লার ছেলে মো: রাকিব (২১) এবং গণি শেখের পাড়া গ্রামের কলিম উদ্দিন মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা (২৪)।
এর আগে শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ওই দুই তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা মামলা করেন।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ওই দুই তরুণী বন্ধুর সাথে গোয়ালন্দ গোধূলী পার্কে বেড়াতে আসে। এসময় গ্রেফতার আসামিসহ অন্যরা তাদের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে একাধিক দামী মোবাইল ফোন ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এক পর্যায়ে ওই তরুণীর বন্ধুদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা তরুনীদের গোধুলী পার্ক থেকে উজনচর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সড়কের অপর পাশে রিয়াজউদ্দিন পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ধনিচা ক্ষেতের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে যায়।
পরে সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় তারা কোনোমতে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিভাবকে ফোন দেয়। তাদের অভিভাবকরা এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে তিনদিন চুপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ভোররাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এসে মামলা করে।
উল্লেখ্য গোধুলী বিনোদন কেন্দ্র একটি ব্যবসায়িক মৎস্য খামার এলাকা ও নির্জন। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নাই। কিন্তু এ বিষয়ে গোধুলী কর্তৃপক্ষ সচেতন না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গণধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগে মামলার পর শুক্রবার উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া ভিকটিমদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।