কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে এক যুবকের আত্মহত্যা ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যার দাবি করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজিত জনতা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় তাদের দাবির আইনইগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে আসে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলা কারণে এএসআই সহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
দুর্জয় চৌধুরী (২৭) চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরীর হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, চকরিয়া থানার একটি কক্ষে দূর্জয় চৌধুরী নামে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিজের গায়ের শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার( ভূমি) রুপায়ন দেব ।
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমের প্ররোচনায় হাজতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি করেন। এতে এলাকার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে থানার সামনে মানববন্ধন ও পরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার ইতিমধ্যে এএসআই হানিফ মিয়া ও দুই পুলিশ কনেস্টবল ইশরাত হোসেন ও মহিউদ্দিনকে জেলা পুলিশ সুপার ক্লোজ করা হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।