খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংস ঘটনায় নিহত তিন তরুণের লাশ শনাক্ত করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতরা হলেন- রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, ‘সহিংসতায় আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খাগড়াছড়ির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো: ছাবের জানান, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।’
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, বর্তমানে গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাজার ও দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। পাহাড়জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনার মধ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভেঙে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হন। এ সময় রামসু বাজারে দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো দায়ী।