আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পটুয়াখালী ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের ছালাম প্যাদা ও ইউসুফ প্যাদার মধ্যে ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমি নিয়ে গত ১০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। রোববার দুপুরে ওই জমিতে ইউসুফ প্যাদা তার লোকজন নিয়ে চাষাবাদ করতে যায়। এতে ছালাম প্যাদার লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (২৫), আল আমিন প্যাদা (২৬), কাওসার প্যাদা (৩০), জুলেখা (৫০), হালিমা (৫২) শাহিনুর (২৮), ঝর্না (৩৫) ও জালাল প্যাদাকে (৬৫) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ইউসুফ প্যাদা (৬৫), হারুন প্যাদা (৫০), জাহাঙ্গির প্যাদা (৪০), চন্দ্র ভানু (৭০), রিনা বেগম (৪৫), খোকন প্যাদা (১৯) ও শাহাবুদ্দিনকে (৩৫) পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউসুফ প্যাদা, জাহিদুল ইসলাম, কাওসার প্যাদা ও হারুন প্যাদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ছালাম প্যাদা বলেন, ‘আমার রেকর্ডিয় জমি ইউসুফ প্যাদা ভাড়াটিয়া লোকজন এনে দখল করে চাষাবাদ করতেছিল। এতে বাধা দিলে আমার পক্ষের আটজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে।’
ইউসুফ প্যাদা বলেন, ‘আমার জমি ছালাম প্যাদা জোরপুর্বক ভোগদখল করছে। ওই জমি উদ্ধার করতে গেলে আমাকেসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: হুমায়ুন ইসলাম সুমন বলেন, ‘আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’