লোহাগাড়ায় স্মরণসভায় শাহজাহান চৌধুরী

অধ্যাপক আবুল কালাম জীবনের শেষমূহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন

‘লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের মরহুম সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম অত্যন্ত ভাগ্যবান। তিনি জীবনের শেষদিন নয় শুধু, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত দ্বীনি আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করেছেন।’

মোছাদ্দেক হোসাইন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)

Location :

Lohagara
লোহাগাড়ায় স্মরণসভায় শাহজাহান চৌধুরী
লোহাগাড়ায় স্মরণসভায় শাহজাহান চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মজলুম জননেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম প্রত্যেক মুসলমানের ওপর অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। জামায়াতে ইসলামীর আর কোনো উদ্দেশ্য নেই, একমাত্র আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে-রাষ্ট্রে মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করাই একমাত্র লক্ষ।’

রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় আমিরাবাদ ইউনিয়নস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মরহুম অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালামের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই কথা বলেন।

এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক নিজামী।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের মরহুম সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম অত্যন্ত ভাগ্যবান। তিনি জীবনের শেষদিন নয় শুধু, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত দ্বীনি আন্দোলনের দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বীনি আন্দোলনের মাঠে তৎপরতা থেকে কয়জনই বা মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে পারে। তিনি সেটা পেরেছেন।’

মোস্তাফিজুর রহমান কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহেরের সঞ্চানলায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর ছাদেক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, নায়েবে আমির অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন মোহাম্মদ নোমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও যুব বিভাগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু নাছের।

আরো বক্তব্য রাখেন- লোহাগাড়া উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও পদুয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম নোমান, চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসা বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আবচার, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আবচার, উত্তর সাতকানিয়া জামায়াতের সাবেক আমির ডা: আব্দুল জলিল, কলাউজানের পীরে কামেল মাওলানা গোলাম রসুল কমরী, চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ফারুক হোছাইন, আধুনগর ইসলামীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুছা খালেদ জামিল, হাফেজ মাওলানা আবুল বশর, লোহাগাড়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আব্দুল কাদের নিজামী, মাস্টার মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল মোহসিন, অধ্যক্ষ মাওলানা সাহাদাত হোসেন, লোহাগাড়া বটতলী শহর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জালাল আহমদ, কলাউজান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ডা: ছিদ্দিক আহমদ, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জসিম উদ্দিন, পদুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আ ক ম হামিদুল হক, লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি কাজী মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী, আইবিডব্লিউএফ লোহাগাড়া উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি কাজী জসিম উদ্দিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সিকদার প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাফর সাদেক বলেন, ‘অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালামকে আমি অত্যন্ত তাক্বওয়াবান, ও নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল হিসেবে পেয়েছি। তিনি সকল কাজের আগে সংগঠনের কাজকে অগ্রাধিকার দিতেন। তিনি আপাদমস্তক সংগঠক ছিলেন।

জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘মাওলানা আবুল কালাম গত স্বৈরাচার সরকারের আমলে একাধিকবার জেল খেটেছেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তার রেখে যাওয়া দ্বীনি কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।’