বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির অপহরণের সুযোগ নেই

তিনি বলেন, ‘নাফ নদীর বেশির ভাগ অংশে বিজিবি ও কিছু অংশে কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দিচ্ছে। আরাকান আর্মি বা মিয়ানমারের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর বাংলাদেশের পানিসীমায় এসে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)

Location :

Cox's Bazar
বিজিবি রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ
বিজিবি রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ |নয়া দিগন্ত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশী জেলেদের অপহরণের কোনো সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের রামুতে বিজিবি সেক্টর সদর দফতরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নাফ নদীর বেশির ভাগ অংশে বিজিবি ও কিছু অংশে কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল দিচ্ছে। আরাকান আর্মি বা মিয়ানমারের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর বাংলাদেশের পানিসীমায় এসে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি— সীমান্তে আমরা সব সময় তৎপর। অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। মাদক ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি আরো জোরদার করা হয়েছে।’

কর্নেল মহিউদ্দিন জানান, ‘সীমান্ত অতিক্রম করে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক সময় অসাধু জেলে ও চোরাকারবারিরা মিয়ানমারের পানিসীমায় ঢুকে পড়ে। এতে করে তারা অপহরণের ঝুঁকিতে পড়ে।’ এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ হওয়া জেলেদের প্রসঙ্গে বিজিবির এই ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৫১ জন বাংলাদেশী জেলে আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি রয়েছে। তাদের সাথে আমাদের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ না থাকলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমরা চাপ প্রয়োগ করছি, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ অপহরণের শিকার না হয়।’

‘অপহৃত জেলেদের স্বজনরাও দাবি করেছেন, বিজিবির তৎপরতার কারণে নাফ নদীতে অপহরণের ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তবে মোহনা ও সাগরে এখনো কিছু তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’

কর্নেল মহিউদ্দিন বলেন, ‘মাদক চোরাচালানকারীরা নিজেরা এলাকায় থাকে না, তারা দূরবর্তী জায়গা থেকে কাজ চালায়। তবে আমরা অনেক চিহ্নিত মাদক কারবারি ও গরু চোরাচালানকারীদের ধরেছি। যেমন আবদুর রহমান বদি ও কুখ্যাত শামীম ডাকাত— এদের গ্রেফতারের পর সীমান্তে পাচার অনেকটা কমেছে।’

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আহত ও অসহায় কিছু রোহিঙ্গার অবস্থা দেখে মানবিক কারণে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়েছে। তবে সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করছি।’

তিনি আরো জানান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিজিবিতে জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের উদ্দেশে কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্ধারিত পানিসীমা মেনে চলতে হবে। অসচেতনতা এবং কিছু চোরাকারবারির প্ররোচনায় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলে, যা তাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।’