বগুড়ার শিবগঞ্জে ধারের টাকা শোধ করতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মোকামতলা বন্দরে প্রতিবন্ধীদের একটি সংগঠনের অফিসে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই গৃহবধূর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পুলিশ এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু সুফিয়ান জাকির ও একই উপজেলার পাঁর আচলাই মধ্যপাড়া গ্রামের মিল্লাত হোসেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আজাহার আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলা এলাকায়। তার স্বামী পেশায় দিনমজুর। তিন মাস আগে মামলার বাদী আসামি আজাহার আলীর কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা ধার নেন। আজাহার সম্প্রতি টাকা ফেরত দিতে তাদের চাপ দিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবারও টাকা দিতে না পারায় আসামিরা ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে গোবিন্দগঞ্জের কুমারগাড়ী এলাকা থেকে জোর করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে মোকামতলা বন্দরের ওই অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে গৃহবধূর স্বামীকে একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর ওই গৃহবধূকে অন্য ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে স্বামী-স্ত্রীকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় অভিযুক্তরা।
শিবগঞ্জ থানার ওসি মো: শাহীনুজ্জামান জানান, মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।