নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকদের সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে হাবিব (৩৩) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাবিব সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের মাছির চাক গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে এবং উত্তরা ইপিজেডের ইকো কোম্পানির শ্রমিক।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এভারগ্রীন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পুরাতন শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো ওই কোম্পানির শ্রমিকসহ ইপিজেডের অন্যান্য কোম্পানির শ্রমিকরা মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। আহতদের নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে হাবিব নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ইপিজেড এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।