গাজীপুরের টঙ্গীতে মসজিদের ইমামকে অপরহণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে উগ্র হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে উপজেলার মার্কাজ মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ইত্তেফাক নেতারা বলেন, ইসকন শুধু কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়; তারা দেশের জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে হুমকিস্বরূপ। তারা দাবি করেন, ইসকনের কাজকর্ম দেশের সামাজিক ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নকারী ও মুসলিমবিদ্বেষী ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গত বছরের নভেম্বরে গ্রেফতার হলে তার অনুসারী ইসকনি সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সহিংস হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে শহীদ করে। সে সময় চট্টগ্রামের মুসলমানদের অভাবিত ধৈর্য ও বিচক্ষণতা প্রদর্শনকে ‘দুর্বলতা’ হিসেবে নিয়েছে ইসকন। তা নাহলে কিভাবে তারা আজ ভিন্নমতের কারণে একজন ইমামকে গুম করার স্পর্ধা দেখায়!
তারা বলেন, ইসকন মুসলমান ও সনাতনী সম্প্রদায় উভয়ের শত্রু। সম্প্রীতি রক্ষার্থে মুসলমান ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আমরা সারাদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহমুদুল হক আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুল্লাহ, দফতর সম্পাদক ও ঈশ্বরগঞ্জ মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি আহসানুল্লাহ কাসেমী, ঈশ্বরগঞ্জ মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা যাইনুল আবেদীন জমিরী, হাফেজ সাইদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা হাসানুর রহমান সজিবসহ আরো অনেকে অংশ নেন।



