সিলেট সেনানিবাসে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদা, গভীর শ্রদ্ধা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বিকেল আড়াইটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নানা আয়োজনে বর্ণিল আলোকসজ্জায় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম চৌধুরী।
দিবসটি উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে সিলেট বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ২১ নভেম্বর জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়যাত্রা আরও ত্বরান্বিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, আর্তমানবতার সেবা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
রিদওয়ানুর রহমান আরো উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি-সজ্জিত, শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বদা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের বন্যা, কোভিড–১৯ সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ধর্মীয় উৎসবেও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব এবং অবদানের বিশেষ প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



