সিলেটে লুট হওয়া পাথর ফেরত দিতে প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

গত ১০ দিনে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৭ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এবার লুকিয়ে রাখা পাথরগুলো ফিরিয়ে দিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা |নয়া দিগন্ত

সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন স্পট থেকে চুরি হওয়া পাথর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিনই উদ্ধার করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক লুকানো পাথর উদ্ধার করা হচ্ছে। গত ১০ দিনে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৭ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এবার লুকিয়ে রাখা পাথরগুলো ফিরিয়ে দিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সভায় আরো বলা হয়, তিন দিন পরে যদি কারো কাছে সাদাপাথর পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মসন সিংহ।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ গোয়াইনঘাট সার্কেল এএসপি আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সুজন চন্দ্র, কোম্পানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফয়জুর রহমান, ইছাকলস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন সাজু, চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ক্রাশ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাসুম আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ প্রমুখ।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা শিবলী আতিকা তিন্নির সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ যেহেতু পাথর অধ্যুষিত এলাকা তাই পর্যটন ও সংরক্ষিত এলাকা নির্ধারণ করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য লিজ দিতে হবে। তা না হলে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলন বন্ধ করা কঠিন হবে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বৈধ পন্থায় যারা পাথর আমদানি বা ক্রাশিং করছেন তাদের হয়রানি বন্ধ ও ক্রাশিং মিলের বৈদ্যুতিক সংযোগ ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্রধান অতিথি পদ্মসন সিংহ বলেন, ‘সাদাপাথরের সৌন্দর্য আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতি ওয়ার্ডের লোকজন যাতে সাদাপাথর ফিরিয়ে দেয়। যদি কেউ পাথর না দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়টি শনিবার বিকেল থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।’