কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে রংপুর মহানগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুলিশ। সারারাত ডিউটির পাশাপাশি ভোর থেকে নিরাপত্তা আরো জোরদার থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই নগরীর মর্ডান মোড়, দমদমা, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, সাহেবগঞ্জ, সিগারেট কোম্পানি, দখিগঞ্জ, আমতলী, বুড়িরহাট, হাজিরহাট, সিও বাজার, মেডিক্যাল মোড়, দর্শনা, নজীরের হাট, লাহিরির হাট, টার্মিনাল, বড় বাড়ি, বিনোদপুরসহ ৩৭টি ছোট বড় প্রবেশমুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে মহানগর পুলিশ। সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে তল্লাশি।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, নগরীর ছোট বড় ৩৭টি প্রবেশমুখে টহল জোরদার করা হয়েছে। মূল নগরী ছাড়াও অলিগলিতে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ কোনো নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। ভোর থেকে এই নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হবে। তবে কোন আশঙ্কা বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে মহানগরী ছাড়াও রংপুর জেলা ও বিভাগের আট জেলায় নিরাপত্তা জোরদার কথা জানিয়েছে পুলিশ সুপার ও ডিআইজি। রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সায়েম জানান, আট উপজেলার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, এনসিপি, জাতীয় ছাত্রশক্তি, গণ অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে থেকে আওয়ামী লীগের নাশকতা মোকাবেলা করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, এনসিপি’র সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, গণ অধিকার পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক হানিফ খান সজীব জানিয়েছেন, পুরো বিভাগের নেতাকর্মীরা ভোর থেকেই মাঠে থেকে আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক যেকোনো কার্যক্রম মোকাবেলা করবে।
সব নেতাকর্মীকে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সোপর্দ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে দলগুলো থেকে।
রংপুরে রাত ১টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজন নেতাকর্মী লকডাউন পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।



