ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা আরামদায়ক করতে গাজীপুরে মহাসড়কে চার হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (এআইজি) দেলোয়ার হোসেন মিঞা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও কাজ করছে। মহাসড়কে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ এবং মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এ কথা জানান।
দেলোয়ার হোসেন মহাসড়কের সমস্যাগুলো তুলে ধরে জানান, মহাসড়কে ৬৭টি স্থানে খানাখন্দ এবং ২৮৫টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় যাত্রী ও চালকদের সতর্কতার সাথে চলাচল করতে আহ্বান জানান। এছাড়া বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হলেও আশা করছি এবার ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় রোধে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হ্যালো এইচপি একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হবে। অ্যাপস’র মধ্যে ভাড়ার একটি চার্ট দেয়া আছে। কেউ বাড়তি ভাড়া চাইলে যাত্রীরা সহজে অ্যাপসের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের যেকোনো সড়কের ভাড়া সম্পর্কে জানতে পারবে। বাস মালিক সমিতির সাথে আমাদের কথা হয়েছে তারা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিবেন না বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন। এসময় হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরে দুই হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় লাখ লাখ কর্মী কাজ করেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হবে। কারখানা ছুটি না হলেও ভীড় ও যানজট এড়াতে অনেকেই তাদের পরিবার ও স্বজনদেরকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় যাত্রীদের ভীড় দেখা গেলেও কোথাও যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি।
এদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ এবং জেলা পুলিশ কাজ করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও এ দুই মহাসড়কে যানজট নেই। স্বস্তি নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, ‘এবারের ঈদ যাত্রায় যানজট মোকাবেলায় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই ঈদের রাত পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ থাকবে। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এবং চালক ও যাত্রীদের সহযোগিতায় মহাসড়কে যানজটমুক্ত পরিবেশে যাত্রীরা তাদের স্বজনদের সাথে ঈদ করতে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে পৌঁছতে পারবেন।’