মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দেশের ৬০টি ওভারসিজ রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির ১২৪ জন মালিক–চেয়ারম্যান–পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ খাতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
ম্যাচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (আরএল নম্বর ৫০৪)-এর মালিক মো: আমিনুর রহমান ওরফে হারুন শিকদার এবং তার স্ত্রী শিরিন রহমান মামলায় ৪০ নম্বর আসামি।
অভিযোগে বলা হয়, বায়রা’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একটি অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের কাছ থেকে কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করা হয়। অনিয়মিত বাছাই, ঘুষ, চুক্তিবহির্ভূত লেনদেন এবং অবৈধ অর্থ পাচারের মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।
তদন্তে উঠে আসে, ৬০টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় মোট ৪ হাজার ৫৪৫ কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের আত্মসাৎকৃত অর্থ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ও শ্রমিক সংখ্যার বিশদ তথ্য মামলার নথিতে যুক্ত করা হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্বশীলরা জানান, শ্রম অভিবাসন খাতে এ ধরনের অনিয়ম শুধু লক্ষাধিক শ্রমিককে ভোগান্তিতে ফেলেনি, দেশের ভাবমূর্তিকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পুরো চক্রকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এমপি ফয়সাল বিপ্লব ও ফজিলাতুন নেছা ইন্দ্রিরার অর্থযোগানদাতা হিসেবে পরিচিত এই হারুন শিকদার। তার বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।



