সাভারে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, কাজ বন্ধ করে দিলো ইউএনও

রোববার বিকেলে ইউএনও সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বন্ধের নির্দেশনা দেন।

আমান উল্লাহ পাটওয়ারী, সাভার (ঢাকা)

Location :

Dhaka
রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দেয় ইউএনও
রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দেয় ইউএনও |নয়া দিগন্ত

ঢাকা সাভারের নয়ারহাট এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তার কাজ করায় এলাকাবাসীদের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে ইউএনও সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বন্ধের নির্দেশনা দেন।

জানা যায়, সাভার উপজেলার নয়ারহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের ভেতর দিয়ে চাকলগ্রাম তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত চলা রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট, বালু ও পুরনো ইট দিয়ে কাজ করছিলেন মিরাজ হোসেনের মালিকানাধীন মুরাদ এন্টারপ্রাইজের লোকজন।

রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘আমি বরিশাল থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছি। এখানে ব্যবহার করা ইটগুলো বৃষ্টিতে সামান্য নষ্ট হয়ে গেছে এবং অনেক দিন ফেলে রাখায় শেওলা পড়েছে। তবে রাস্তায় ব্যবহার করা ইটগুলো এক নম্বর।’

স্থানীয়রা জানায়, নিম্নমানের ইট, বালু ও রাবিশ দিয়ে কাজ করায় রাস্তা নির্মাণের কারণে এখনি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় নির্মাণ করা রাস্তায় অনিয়মের কারণে তিন মাস যাওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। যার জন্য দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগণকে। যারা এ ধরনের অনিয়ম করে কাজ করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় এলাকাবাসীরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাককে ম্যানেজ করে সাব-কন্ট্রাক্টর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। এরজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে কোনো নজরদারি করছেন না আব্দুর রাজ্জাক। কমিশন খেয়ে কাজের দেখভাল না করায় ঠিকাদার নয়ছয় করার সুযোগ পেয়েছে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো: মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রথমে পুরনো ইট দিয়ে কাজ করায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন নতুন ইট দিয়ে কাজ করছি তবুও স্থানীয়রা কাজের মান খারাপ হওয়ার অভিযোগ করেছেন। ইউএনও যদি কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা আর কাজ করব না।’

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজনকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে উপজেলায় আসতে বলেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।