মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাজ্জাদ গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের শহর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন সাগরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাজ্জাদ গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাজ্জাদ গ্রেফতার |নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি, শহর ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন সাগরকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ডেমরা এলাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সাজ্জাদ হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনজন দিনমজুরকে নৃশংসভাবে হত্যা ও একাধিক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর সাগর দীর্ঘ দুই মাস আত্মগোপনে ছিলেন এবং দেশে ফিরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। প্রবাসে পালানোর গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল।

মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো: ফিরোজ কবির নয়াদিগন্তকে বলেন,

‘সাজ্জাদ হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

পিপি অ্যাডভোকেট হালিম হোসাইন জানান, আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সময় আদালত পাড়া ও এরা কারাগারে নিরাপত্তা বলায় তৈরি করা হয়।

গ্রেফতারের সময় তার সঙ্গে থাকা সহযোগী মো: সাগর মিয়াকেও আটক করা হয়েছে। সাগর মিয়া মুন্সীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রামগোপালপুর চিশতিবাড়ির বাসিন্দা।

জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক চত্বর এলাকায় এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় সাজ্জাদ হোসেন সাগর প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান। এতে সজল মোল্লা, রিয়াজুল ফরাজী ও ডিপজল নামে তিনজন দিনমজুর নিহত হন এবং দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন।

৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সাগর দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক হয়ে দেশে ফেরত আসেন। সর্বশেষ, ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতায় গ্রেফতার হন তিনি।