নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু

এ সময় নবীগঞ্জ শহরের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ অন্তত ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং ১০টি দোকানে আগুন দেয়া হয়। ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া।

কিবরিয়া চৌধুরী, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)

Location :

Nabiganj
সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমন মিয়া নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রিমন মিয়া নবীগঞ্জ পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশাহিদ আলীকে গত ৩ জুলাই নবীগঞ্জে অপর গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদারের লোকজন মারধর করেন। এরপর আশাহিদ আলীর পক্ষে আনমনু গ্রামের লোকজন তিমিরপুর গ্রামের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে পরদিন ৪ জুলাই রাতেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই দুপুরে পূর্ব তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের সাথে আনমনুসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা ওই সংঘর্ষে পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের ফারুক মিয়া নিহত হন এবং উভয়পক্ষের দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

এ সময় নবীগঞ্জ শহরের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ অন্তত ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং ১০টি দোকানে আগুন দেয়া হয়। ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার রাতে রিমন মিয়ার মৃত্যু হয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: কামরুজ্জামান রিমন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই রিপন চন্দ্র আটজন সাংবাদিকসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাতে নিহত ফারুক মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম ১০ সাংবাদিকসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।