জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় ফুলকুঁড়ি আসরের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পাবনা শাখায় জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। এ সময় শিশু কিশোর সমাবেশ, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজে গড়ো’ এই মূলমন্ত্র সামনে নিয়ে পালিত হয় ফুলকুঁড়ি আসর পাবনা শাখার ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে পাবনা জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে জমকালো আয়োজনে শিশু কিশোর সমাবেশ, পুরস্কার বিতরণীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা।
ফুলকুঁড়ি আসর পাবনা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে ও পরিচালক খাদিমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: মনিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, প্রেসক্লাব পাবনার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানা বিপ্লব।
শিশু কিশোর সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রধান পরিচালক মো: আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, ফুলকুঁড়ির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামীম আহসান, রুহুল আমিন রিয়াজী।
অন্যদের উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব পাবনার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম রঞ্জু, জাগির হোসেন অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, ফুলকুঁড়ি আসরের কেন্দ্রীয় সি এস ডি সম্পাদক ইমরান জাবের, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল আসাদ মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা ফুলকুঁড়ির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশ গঠনে তোমাদের ভূমিকা থাকবে অবিস্মরণীয়। এই কাজগুলো করতে হলে তোমাদেরকে মেধা খাঁটিয়ে পরিশ্রম করে নিজের জীবনকে শিক্ষা ও চরিত্রের মাধ্যমে একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
বক্তারা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তানের দিকে সবসময় পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবেন তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো বিষয় নিয়ে তাদের সাপোর্ট করবেন না।
ফুলকুঁড়ির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, তোমরা বাবা-মার পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে নিজের উন্নত জীবন গড়ে তুলবে। তোমার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আচরণে পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা একটা উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারবো। তোমার বাবা-মা ও দেশ এ প্রত্যাশা করে। আলোচনা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
 


