খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির পাশাপাশি আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করেছে ছাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এর মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ফোনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে কাল একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তার কথায় কর্মসূচি থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘এতকিছুর পর আলোচনার নামে প্রহসন আমরা মেনে নিচ্ছি না। আমাদের একমাত্র দাবি ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারা দু’মাস আলোচনার জন্য অপেক্ষা করলেও তখন কেউ তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এখন এক দফাতে পৌঁছে গেছে শিক্ষার্থীরা। আমাদের নামে মামলা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে। হুমকিও দেয়া হয়েছে। তাই এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তারসহ সিনিয়র শিক্ষকদের কয়েকজন অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন।
ইলিয়াস আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং শিক্ষকরা অনশন স্থলে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে যারা অসুস্থ হয়েছে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া অনশনস্থলে মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। একইসাথে আমরা শিক্ষার্থীদের আলোচনায় আসার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
এর আগে গত রোববার ভিসির পদত্যাগের চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয় এবং এ সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন।