টঙ্গীতে মসজিদের খতিব অপহরণের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা, পুলিশের প্রেসনোট

ইসকনের সদস্যরা মুফতি মোহেববুল্লাহকে অপহরণ করে পঞ্চগড়ে নিয়ে যায় এবং হাত-পা শিকলে বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ বলে দাবি আলেম সমাজের।

মো: আজিজুল হক, গাজীপুর মহানগর

Location :

Gazipur
অপহৃত মুফতি মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজি
অপহৃত মুফতি মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজি |নয়া দিগন্ত

টঙ্গী টিএন্ডটি কলোনি জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজিকে অপহরণের ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসাথে ঘটনায় পুলিশ প্রেসনোট দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) এ প্রেসনোট দেয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর সকালে হাঁটতে বের হয়ে টঙ্গী থেকে নিখোঁজ হন ইমাম মোহেববুল্লাহ। পরে ২৩ অক্টোবর ভোরে পঞ্চগড়ের হিলির্বোড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আজাদি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির আতাউর রহমান বিক্রমপুরী।

আলেম সমাজের দাবি, ইসকনের সদস্যরা মুফতি মোহেববুল্লাহকে অপহরণ করে পঞ্চগড়ে নিয়ে যায় এবং হাত-পা শিকলে বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, কারা ঘটনার সাথে জড়িত তা নিয়ে বিশেষ তদন্ত চলছে।

ঘটনায় ক্ষুব্ধ হেফাজতে ইসলাম ও তৌহিদি জনতা শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে টঙ্গী স্টেশন রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। একইসাথে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানায় আপামর জনতা।

এদিকে শনিবার এক প্রেসনোটে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘টঙ্গী টিএন্ডটি কলোনি মসজিদের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজিকে অপহরণের বিষয়ে গতকাল টঙ্গী পূর্ব থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। একজন বর্ষীয়ান আলেমের অপহরণকে পুলিশ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে মামলা রুজুর পূর্বেই অনুসন্ধান শুরু করে। মামলার তদন্তকালে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্দেহাতীতভাবে দায়ী করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এ তদন্তে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কোনো পক্ষকে দায়ী না করে ধৈর্যশীল হওয়ার জন‍্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।’

ওসি আরো জানান, ‘এ ঘটনায় মুফতি মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ মিয়াজি নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছেন।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তে বিশেষ টিম কাজ করছে এবং শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে।