প্রকৌশল খাতে কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রমোশনাল কোটা ও অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলী পদে উন্নীত করা হচ্ছে। এতে মেধাবী বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

সাদিকুর রহমান রোমান, মেলান্দহ (জামালপুর)

Location :

Melandaha
প্রকৌশল খাতে কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকৌশল খাতে কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ |নয়া দিগন্ত

প্রকৌশলী পদে নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল, পদোন্নতির পরিবর্তে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ এবং প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য বিএসসি ডিগ্রিকে বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলটি অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে প্রধান ফটক হয়ে গোবিন্দগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা ‘কোটা নয়, মেধায় চাই’, ‘বৈষম্যের বাংলাদেশ চাই না’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও’, ‘প্রকৌশলীর ন্যায্য স্বীকৃতি চাই’ এমন স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক সুজিত রায়, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রভাষক সিজার রহমান, প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মো: সাকিবুল হক লিপু, জাবিপ্রবি শাখার মুখ্য সংগঠক ও ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মিনহাজসহ অন্যরা।

বক্তারা বলেন, প্রমোশনাল কোটা ও অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে ডিপ্লোমাধারী উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলী পদে উন্নীত করা হচ্ছে। এতে মেধাবী বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। চাকরির সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ছে, যা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের চরম হতাশায় ফেলছে।

তারা আরো বলেন, প্রকৌশল পেশায় এই বৈষম্য চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি হ্রাস পাবে। প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবিচার, সিন্ডিকেটকরণ ও অযোগ্যদের সুযোগ দেয়া এই প্রেক্ষাপটে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমাদের এই দাবি সামগ্রিকভাবে দেশের প্রকৌশল খাতের স্বচ্ছতা, মান ও ন্যায্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।