শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে ২৫। এছাড়াও বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
ছবি : নয়া দিগন্ত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে ২৫। এছাড়াও বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বিষ্ণুপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য কপিল বিশ্বাসের সাথে রইচ উদ্দিন ও যুবদলের স্থানীয় নেতা সাজাহানের সমর্থকদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ঢাল, সরকি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের করিম, জাহিদ, লিটন, মিজানসহ ২৫ জন গুরুত আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও সংঘর্ষে শারীরিক প্রতিবন্ধী জামিরুল ইসলামের দোকানসহ ছয়-সাতটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মারামারির সাথে জড়িত না হলেও প্রতিপক্ষরা কেন যে আমার দোকানটা ভেঙ্গে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না। একমাত্র আয়ের উৎসাহ এই দোকানটি ভেঙ্গে মালামাল-টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছি।’

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের মারামারির জের ধরে শুক্রবার সকালে আবারো দু’পক্ষ মারামারি করেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

তিনি আরো জানান, তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।