গরমে পুড়ছে মোংলা, অতিষ্ঠ জনজীবন

মোংলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস।

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা

Location :

Bagerhat
তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন |নয়া দিগন্ত

বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে মোংলার প্রাণ-প্রকৃতি। দিন যত গড়াচ্ছে সূর্যের দাপট যেন ততই বেড়েই চলেছে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গ্রাম থেকে জেলা শহরের সর্বত্র হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণিকুলে।

রোববার (১১ মে) বাগেরহাটের মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা বাড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেছে মোংলা আবহাওয়া অফিস।

গরমে ভ্যানচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে, গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও। তীব্র গরম অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। স্বস্তিতে নেই সাধারণ ব্যবসায়ীরাও।

তীব্র গরমের কারণে দিনের বেলা বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার দেখা মিলছে কম। খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। এদিকে তীব্র গরমের কারণে সকর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

রাজীব নামে এক ভ্যানচালক বলেন, ‘মনে হচ্ছে আগুন উড়ছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে, জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে। রাস্তার তাপের আঁচ মুখে লাগছে, মনে হচ্ছে মুখ পুড়ে যাচ্ছে।’

সবজি বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ঠা-ঠা রোদে গা পুড়ে যাচ্ছে। খরতাপে রাস্তা থেকেও বের হচ্ছে তাপ। এ পরিস্থিতিতে রাস্তার পাশে ছাতার তলায় বসে থাকাও যাচ্ছে না।’

কাপড় ব্যবসায়ী মো: রিপন হাওলাদার বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ। গরমের কারণে দিনের বেলায় দোকানগুলোতে খুব একটা খরিদ্দাররা আসছেন না। সন্ধ্যায় সামান্য কয়েকজনের আনাগোনা দেখা যায়। শহরের সব বিপণিবিতানগুলোতে একই পরিস্থিতি।’

তীব্র গরম পরিস্থিতিতে সবাইকে বাইরে চলাচলে ও খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: শাহিন বলেন, ‘বাইরে সাবধানতার সাথে চলাচলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা থেকে জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে এই তীব্র গরমে।’

তিনি বলেন, ‘গরমের তীব্রতায় বিশেষ কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে ঘন ঘন পানি খেতে হবে।’

ডায়রিয়া ও জন্ডিস থেকে রক্ষা পেতে ভাজাপোড়াসহ তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।