রশিদপুরে পুরোনো কূপে ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান

কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত কূপটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট (তেলের উপজাত) পাওয়া যাবে।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
রশিদপুরে পুরোনো কূপে ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান
রশিদপুরে পুরোনো কূপে ২৫.৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান |ছবি : নয়া দিগন্ত

দেশে পেট্রোবাংলার অধীনস্থ সবচেয়ে বড় গ্যাস-তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন (এসজিএফএল) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর পুরাতন কূপে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এই কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাপেক্স নিজস্ব রিগ ব্যবহার করে কূপটির ওয়ার্কওভার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কওভার চলাকালে গ্যাস প্রবাহ নিশ্চিত হয়। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামী ১০ বছর পর্যন্ত কূপটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট (তেলের উপজাত) পাওয়া যাবে।

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল জলিল প্রামাণিক সোমবার নয়া দিগন্তকে জানান, রশিদপুর-৩ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার প্রকল্পে আনুমানিক ৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কূপটি থেকে শুধুমাত্র গ্যাসই নয়, এর সাথে উপজাত কনডেনসেট (প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে পাওয়া তরল পদার্থ) পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তাদের কোম্পানির আওতায় থাকা অন্যান্য গ্যাস কূপেও উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে কৈলাশটিলা-১ ও বিয়ানীবাজার-২ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার কাজ বর্তমানে চলমান। এ ছাড়া, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের আওতাধীন গ্যাস

ফিল্ডগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছ। সিলেট-১০এক্স, সিলেট-১১, ডুপিটিলা-১, কৈলাসটিলা-৯, রশিদপুর-১১ ও ১৩নং কূপ খননের প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে সফলভাবে শেষ করা গেলে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের একটি বিশেষ সুবিধা হলো, এখানে পাইপলাইন ও প্রসেসিং প্ল্যান্ট বিদ্যমান, ফলে গ্যাস উত্তোলন ও জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দিতে কোনো জটিলতা নেই।

গত ১২ জুলাই থেকে রশিদপুর-৩ নম্বর পুরাতন কূপে নতুন করে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে বাপেক্স।

রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুমন বিকাশ দাশ জানান, আমরা এখনো কূপটি বুঝে পাইনি। আশা করছি আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বুঝে পাব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিদিন প্রায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে। তবে সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরই বিস্তারিত বলা যাবে।

বর্তমানে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ১১টি কূপের মধ্যে ৭টি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।