পটুয়াখালীর গলাচিপায় গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আলামিন গাজী (৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে নিখোঁজ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তুলারাম গ্রামের মিজান মিয়ার ঘেরের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলামিন গাজী বাগেরহাট জেলার রামপালের কালেখারবেড় গ্রামের মিজান গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলামিন প্রায় চার বছর আগে গলাচিপায় স্থানীয় আলম মিয়ার ছেলে নিক্সনের গরুর খামারে কাজের জন্য আসেন। কাজে থাকা অবস্থায় তার সাথে পানপট্টি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলিল মিস্ত্রীর মেয়ে নাজমা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আলামিন বাগেরহাটে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এক সময় আবারো কর্মস্থলে ফিরে আসেন আলামিন। দুই মাস আগে নাজমাকে বিয়ে করেন তিনি।
আরো জানা যায়, নাজমার এর আগে দু’টি বিয়ে হয়েছিল। এদিকে মায়ের বিয়ের পর প্রথম সংসারের ছেলে সজল তার বাবা আলামিনকে একটি অটোরিকশা কিনে দেন, যা চালিয়েই সংসার চালাতেন আলামিন। সোমবার সন্ধ্যায় আলামিন নাজমাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশাতে করে বাঁশতলা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা নাজমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাজমা বেগম বর্তমানে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর আলামিনের অটোরিকশাটি পানপট্টি বোয়ালিয়া বেড়িবাঁধের পূর্বপাশে গাজী বাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে নিখোঁজ হয়ে পড়েন আলামিন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে শামিম মৃধা বাড়ির পাশে মিজান মিয়ার ঘের পাড়ে একটি কাপলা গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আলামিনকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আসাদুর রহমান জানান, আলামিন ও তার স্ত্রীর সাথে বাগ্বিতণ্ডা হয়। মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। সোমবার তার স্ত্রীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।