হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাজিদুল ইসলাম সোহাগসহ চার পুলিশ সদস্য এবং আরো তিন জনের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের মশিউর রহমান জুয়েল এ মামলা করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক মো: কামরুল হাসান এফআইআর করার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার হিসেবে কর্মরত।
মামলার আসামিরা হলেন এসআই সাজিদুল ইসলাম সোহাগ, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আরিফুল, কনস্টেবল রবি দাস, টিএসআই শাহজালাল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার মহলুল সুনাম গ্রামের রাজু মিয়া, শাহ আলম ও রেল কলোনির পলাশ মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট রাতে মশিউর রহমান জুয়েল ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে আসেন। রাত ১টার দিকে উপবন ট্রেন আসার কথা থাকলেও বিলম্ব হয়। এ সময় তিনি স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন লোক তার ওপর হামলা চালিয়ে মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সে চিৎকার করলে রেলওয়ে পুলিশ সহযোগিতা না করে বরং তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ সদস্যরা শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং তার কাছে গাঁজা ও ইয়াবা রেখে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এ প্রসঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে কোর্টের আদেশ এখনো থানায় এসে পৌঁছেনি। আদেশ হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’