গাজীপুরে মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে জুয়েল তালুকদার (৪৩) নামে একজন নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (২৫ মে) মহানগরীর কোনাবাড়ীর আমতলা (পারিজাত) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল তালুকদার নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া বাজার এলাকার কছিমুদ্দিন তালুকদারের ছেলে। সে গত ছয় বছর ধরে আমতলা (পারিজাত) এলাকায় হোসেন আলীর বাসায় ভাড়া থেকে চাকরি করতেন।
সম্প্রতি জন্ডিস রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভ্যান চালিয়ে এবং মাঝে মাঝে মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল হককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গাজীপুর জিএমপি কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন জানান, নিহত জুয়েল ও আহত আব্দুল হক দু’জনে মিলে আব্দুল হাকের মেয়েকে দিয়ে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মোবাইল চুরি করিয়ে বিক্রি করতো। শুক্রবার (২৩ মে) স্থানীয় এক বাসা থেকে মোবাইলফোন চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনাটি বাসার লোকজন সিসি ক্যামেরায় দেখে মেয়েকে চিনে ফেলে এবং আব্দুল হকের মেয়েকে শনাক্ত করে।
রোববার (২৫ মে) সকালে ওই মেয়ে আবার একই বাসায় গেলে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে। পরে সে স্বীকার করে যে মোবাইল নিয়ে তার বাবার কাছে দিলে জুয়েল তালুকদার ও আব্দুল হক মিলে মোবাইল বিক্রি করে।
লোকজন জুয়েল তালুকদার এবং আব্দুল হককে গণপিটুনি দিলে জুয়েল তালুকদার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুরুতর আহত আব্দুল হককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।