কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের চিওড়া তেজের বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- চিওড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন (২৯) এবং আলী হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা নাসির (২২)।
জানা যায়, আটক ব্যক্তিরা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট-লালমাই) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত আব্দুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী ও ঢালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসহাক মজুমদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
নাঙ্গলকোট সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মাহমুদ জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চিওড়া তেজের বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করায় আনোয়ার ও নাসিরকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে ঢালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসহাক মজুমদারকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সর্বশেষ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন বলেন, ‘আমার জানা মতে, যে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের পরিচয় দিয়েছেন তিনি ছাত্রদলের পদবিধারী কেউ নয়। তবে যেহেতু নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের দীর্ঘদিন ধরে কমিটি নেই, হয়তো তিনি কোনো দলীয় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় দলের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘সন্ত্রাসীর কোনো দল থাকতে পারে না। এছাড়া তিনি যুবদল নেতা পরিচয় দিয়েছেন, তবে তিনি আমাদের কোনো স্তরের কমিটিতে নেই। আমার জানা মতে, তিনি বিএনপির অপর এক গ্রুপের লোক। তিনি যুবদলকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই আমি উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এ সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘যৌথবাহিনী আটক দুই যুবককে থানায় হস্তান্তর করেছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাদের কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।’



