কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ ‘পালাইছে’ বলায় কথা কাটাকাটির জেরে বিএনপির চার নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন একজন।
শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নবিয়াবাদ গ্রামের বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল (৩৮), তার ছেলে সৌরভ (১৯), একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহের মিয়ার ছেলে জাহিদুল (২০) ও ইউনুস মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে বাঙ্গরায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল মিয়ার ছেলে সৌরভের সাথে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদের বিএনপি-আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ‘পালাইছে’ বলায় দু‘জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দু’পক্ষের অভিভাবকদের মাধ্যমে ঘটনার সুরাহা করা হয়।
আরো জানা যায়, পূর্বের ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার রাতে নবিয়াবাদ মাদরাসার সামনে মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদ ও জিসানের নেতৃত্বে ৫-৬ জন আচমকা সৌরভের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সৌরভকে বাঁচাতে এলে তার বাবা জুয়েল মিয়া ও কাকা শাকিল ও তার সমবয়সী জাহিদুলকেও চোখ-পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানে জাহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত জুয়েলের ভাই বিএনপি নেতা হাবীবুর রহমান বলেন, ‘ছেলেরা ঝগড়া করছে এগুলো নিয়ে তিন দিন আগে এলাকায় সামাজিকভাবে মীমাংসা হওয়ার পরেও আমার ভাই, ভাতিজাসহ বিএনপির কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। জাহিদুলের অবস্থা খুব খারাপ। তার একটা চোখ খুলে ফেলছে। এখন সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’