ঈশ্বরগঞ্জে সেতু ভেঙ্গে মাটি ভরাট, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

ব্রিটিশ আমল থেকে এই সেতু দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশন চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে সেতুর সামনের জমিতে শেখ ইমদাদুল হক মিলন মাটি ভরাটের চেষ্টা করেন।

মো: আব্দুল আউয়াল, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)

Location :

Ishwarganj
ঈশ্বরগঞ্জে সেতু ভেঙ্গে মাটি ভরাটের অভিযোগে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ঈশ্বরগঞ্জে সেতু ভেঙ্গে মাটি ভরাটের অভিযোগে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত |নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি সেতু ভেঙ্গে মাটি ভরাটের অভিযোগে শেখ এমদাদুল হক মিলন নামে এক ব্যক্তিকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা রহমান উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের ইকরিয়া কান্দা নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে দেখা যায়, ইকরিয়া কান্দা নামক স্থানে এলজিইডির একটি সড়কে থাকা প্রায় ৫০ বছর আগের একটি সেতুর একাংশ ভেঙ্গে মাটি ভরাটের কাজ করছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ ইমদাদুল হক মিলন।

এলাকাবাসী জানায়, সেতুটি দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় হাজার খানেক কৃষকের কয়েক শ’ একর জমির পানি নিষ্কাশন হয়। সেতুটিতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কয়েক শ’ একর জমির ফসলসহ পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে নাউরী, ইকরিয়া কান্দা, নয়াপাড়াসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

নাউরী গ্রামের কৃষক শাহজাহান মন্ডল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই সেতু দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশন চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে সেতুর সামনের জমিতে বিএনপি নেতা শেখ ইমদাদুল হক মিলন মাটি ভরাটের চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী বাধা দিলেও তিনি কারো কথা শুনেননি। সোমবার সকাল থেকে তার লোকজন মাটি ভরাট ও সেতু ভাঙ্গা শুরু করে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে অবগতি করলে পুলিশ এসে মাটি ভরাট ও সেতু ভাঙ্গার কাজ স্থগিত করে।

শেখ ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘জমিটি মাস খানিক আগে ক্রয় করেছি। বাড়ি নির্মাণ করতে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।’

সেতু ভাঙ্গার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এলজিইডি অফিসের অনুমতি নিয়েছি। এলজিইডি অফিস সবই অবগত।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো: মোজ্জাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমি সেতু ভাঙ্গার বিষয়টি শুনে সেখানে অফিসের সিইও নাঈম সাহেবকে পাঠিয়েছি। ব্যক্তি মালিকাধীন জায়গায় মাটি ভরাটের বিষয়ে আমি তো তাকে কিছু বলতে পারি না। তবে তাকে আমি পানি নিষ্কাশন প্রবাহ ঠিক রেখে কাজ করতে বলেছি। সেতু ভাঙ্গার কথা বলিনি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে ভাঙ্গা অংশটি পুনরায় মেরামত করতে নির্দেশ দেয়া হয় এবং ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়।