বরগুনার আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিতে বাধা দেয়ায় সুপার আবু তাহেরকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তিনি আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছাত্রীকে তুলে নেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে, বুধবার বিকেলে ছাত্রী তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার মানিকঝুড়ি এলাকার মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মানিকঝুড়ি এলাকার মোশাররফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে জোবায়ের হোসেন বাবু দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছেন। বুধবার বিকেলে মাদরাসা ছুটির পরে ওই ছাত্রী মধ্য আমতলী গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মাদরাসা থেকে একটু দূরে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগী ইমরান ওই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চেষ্টা করেন।
এমন সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে মাদরাসার সামনে আসলে সুপার আবু তাহের ও শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জোবায়ের হোসেন বাবু, ইমরান, নাজমুল, রিয়াজ, সাইমুন ও কবিরসহ ১০-১২ জন মাদরাসা সুপারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় আরেক শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়ে সুপার আবু তাহের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে মাদরাসা সুপার আবু তাহের জোবায়ের হোসেন বাবুকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ‘বখাটে’দের এমন আচরণে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে জোবায়ের হোসেন বাবু আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছেন। বিষয়টি আমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বুধবার বিকেলে মাদরাসা ছুটির পরে আমি বাড়িতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় জোবায়ের হোসেন বাবু ও ইমরান আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। আমি দৌড়ে সুপারের কাছে এলে তিনি তাদের বাধা দেন। ওই সময় তারা সুপারকে মারধর করেছেন। আমি এ ঘটনায় তাদের শাস্তি দাবি করছি।
মাদরাসা সুপার আবু তাহের বলেন, ছাত্রীকে বখাটে জোবায়ের হোসেন বাবু ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি এতে বাধা দেয়ায় তারা আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



